Thursday, August 7, 2014

এখোনো কি রাত?

কত রাত হল?
কেউ জেগে আছো?
কারোর পায়ের শব্দ কি আসছে?
কই না তো!
মনের ভুল?
তাই হবে হয়তো।

আবার গিয়ে খিল আটকিয়ে শোবো?
ঘুম কি আসবে?
নাকি দরজা খুলে বাইরে মাঠটায় গিয়ে বসি।

হ্যাঁ গো, মাঠে হাওয়া আছে?
মাঠে কি জল আছে?
গুন্ডারা কি এখনো বসে আছে?
ওরা কি আবার আমার শাড়ি
 
সায়া ব্লাউজ খুলে নেবে?
আবার সারা শরীর নিয়ে নোংরা কথা বলবে?
সুড়সুড়ি দেবে? আঁচড়ে দেবে? কামড়ে দেবে?
বলো না গো? কি গো?
আমি আজকাল কিছুই কেন বুঝতে পারি না গো?
শুনছো? কি গো? তাকাও এদিকে?
আমি যাব মাঠে?
যেখানে আমায় ফেলে রেখে গেছিল,
আহা, আমার নতুন শাড়িটা পুরো ফালাফালা,
জানো?
ওতে রক্তের দাগগুলো ওঠেনি এখনো, দেখো
তুমি ওরকম আরেকটা শাড়ি এনে দেবে?
কি গো? তাকাও?
 
কথা বলছ না কেন?
তাকাও...কি গো তাকাও...


"সিস্টার সিস্টার", ডাকল ডাক্তার।
"ওকে ঘুমের ওষুধ দাও।"

1 comment:

  1. এ রাত্রের শেষ কবে যে হবে তা বুঝতে পারছি না। প্রতিদিন খবরের কাগজ, ফেসবুক কিম্বা টিভি এ যন্ত্রনার অবসান ঘটানোর কোন ইঙ্গিতই দিচ্ছে না। রাক্ষস রাতে বড় প্রবল; তাই এটা মাঝরাত না শেষরাত - তান্ডবে ঠাহর হচ্ছে না। অপরাজিতা, নির্ভয়ারা চলন্ত গাড়ী বা অটো থেকে লাফিয়ে পড়েও রেহাই পাচ্ছে না। বিকৃত রুচির শিকার হয়ে ঘুমের ওষুধই শেষ সম্বল হয়ে পড়ছে, অথবা মৃত্যু। মহাপ্রভুর সময়ে নাকি মেয়েদের জন্মানোর পরে মুখ বিকৃত করে দেওয়া হত, বা তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে পর্দানশীন করে বাঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা করা হত। আবার কি সেই যুগ ফিরে এল? এবার ঘরের লোকেদের হাতেই বস্ত্রহরণ – বাঁচবে কিসে? মহাপ্রভু, জেগে আছ?

    আমি যত ভাবি না কেন, উত্তর পাই না।

    ReplyDelete