(এ লেখার উদ্দেশ্য 'কথামৃত' এর সমালোচনা নয়, আমাদের যোগ্যতার বিচার।)
কৃষ্ণ
কেনে দরশনে দিবেন কলিকালে।
নিজ ভ্রমে মূর্খলোক করে কোলাহলে।।
~ মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (চৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা)
ঈশ্বর
দর্শনই মানব জীবনের উদ্দেশ্য
~ শ্রীরামকৃষ্ণ
'কথামৃত' নেই এমন পড়ুয়া, ভক্তিচর্চাকারী বাঙালির ঘর খুঁজে পাওয়া
শক্ত। বাঙালি সাহিত্যভিত্তিক ইতিহাস ভালোবাসে, না তথ্যভিত্তিক ইতিহাস ভালোবাসে - ও
বড় কঠিন প্রশ্ন। তবে সাধারণ মানব প্রবৃত্তির কথা মাথায় রেখে বলা যায়, প্রথমটিই
বেশি জনপ্রিয়। এখানে একটা গোলমাল আছে। রোমা রোলাঁর লেখা রামকৃষ্ণের জীবনী এবং
রিচার্ড শিফম্যানের লেখা The Prophet Of New Age --- এরা কট্টর তথ্যভিত্তিক
ঐতিহাসিক সাহিত্য না সাহিত্যরস ভিত্তিক জীবনী, এ বলা খুব শক্ত কিছু নয় বই দুটো
পড়লে। রামকৃষ্ণ মিশনের মতে এই দুটি প্রায় প্রামাণ্য গ্রন্থ। কিন্তু শ্রদ্ধেয়
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'পরমপুরুষ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ' ব্রাত্য, তা নাকি
শুধুই সাহিত্য। অথচ তাতে কি প্রমাণগত ভুল আছে সে বিষয়ে কোনো আত্মপক্ষ সমর্থনকারী
বই মিশন থেকে লেখার প্রয়াস করা হয়েছে বলে আমার অন্তত জানা নেই। অথচ বইটার গালমন্দ
আমি শুনেছি আর কিছু পত্রপত্রিকাতে পড়েওছি, অবশ্যই সেগুলো মঠ মিশন কর্তৃক
প্রকাশিত।
এক
হতে পারে আমাদের অচিন্ত্যবাবুর আন্তর্জাতিক কোনো পরিচয় উল্লেখ্য দুই পাশ্চাত্য
পন্ডিতদের মত তো অবশ্যই নেই, তাও তার মধ্যে একজন আবার নোবেলজয়ী। কিন্তু না, তাও তো
নয়। 'Kali's Child' বলে একটা বই লেখা হয় বেশ কিছু বছর আগে, তাতে রামকৃষ্ণদেবের
যৌনতা নিয়ে নানা ব্যাখ্যা ফ্রয়েডীয় মতে লেখক নাকি করেছেন। সমকামিতা ইত্যাদি
প্রসঙ্গ এসেছে। বইটা অবশ্য আমি পড়িনি তবে সে লেখা নিয়ে লোকসভাতেও প্রচুর হইচই করা
হয়েছিল। কারণ আমাদের শুদ্ধ সংস্কৃতিতে অবতার যৌনগন্ধহীন হওয়া একান্ত কাম্য, এবং
আমরা এও জানি তাদের জন্ম নরনারীর শারীরিক মিলনেও হয় না। সে হয় দিব্যসত্তার
মধ্যস্থতায়। সুতরাং এর উপর যদি কারো সমকামিত্বের কথা বলা হয় তো কেলেঙ্কারি! এমন কি
আমাদের গায়ত্রী স্পিভাক দিদিও ক্ষেপে উঠে অনেক কথা বলেছিলেন যে এটা বাংলার একটা
বিশেষ সাধন কৌশল যাতে পুরুষ নারীরূপে নিজেকে কল্পনা করে, এবং "প্রকৃতিভাবে
পুরুষকে আলিঙ্গন, চুম্বন করতে ইচ্ছা হয়" (কথামৃত, ২৭শে অক্টোবর, শ্যামপুকুর
বাটি। শ্রীম যদিও পুরুষ শব্দটা লিখে ব্র্যাকেটে 'ঈশ্বর' কথাটা লিখেছেন, যাতে কোনো
ভুল মেসেজ না যায়)। রামকৃষ্ণ মিশন থেকে কিন্তু এর যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে একজন
মহারাজের মারফত, খুব সম্ভবত লেখাটা ত্যাগরূপানন্দ মহারাজের লেখা। কিন্তু আমাদের
বাঙালি লেখক মহাশয়ের বইটা আপামর বাঙালিকুল দ্বারা সমাদৃত হলেও প্রাতিষ্ঠানিক ভুল
হিসাবেই থেকে গেল এতগুলো বছর।
আমার
যে আলোচনায় আসা। বাঙালির কাছে 'কথামৃত' কি? বাঙালি যে মাত্রাতে কথামৃত পড়ে সেই
মাত্রাতে বিবেকানন্দ পড়ে না এ বলা বাহুল্য। বিবেকানন্দের কয়েকটা বাঁধাধরা উক্তি
ছাড়া বিশেষ কিছু সাধারণ বাঙালি আজকাল তেমনভাবে পড়ে না। অবশ্যই সবার কথা বলছি না।
কেন? কারণ সোজা, কথামৃতে রস আছে। বিবেকানন্দের দর্শনের কাঠিন্য আছে। কয়েকটা ছেঁড়া ছেঁড়া উদ্দীপনাময় জ্বালাময়ী
বাণীর কি খেল আজ রাজনৈতিক মহলে আর তার ফল আমরা হাড়েহাড়ে টেরও পাচ্ছি আজ। আর সম্যক
জ্ঞান না থাকার মাশুলও দিচ্ছি।
কথামৃত কি তবে? একটা সান্ত্বনা, একটা
আশা, একটা ভেন্ট। প্রতিটা ছোট বড় বইমেলায়, বহু নামীদামী প্রকাশনার সাথে বহু অখ্যাত
প্রকাশনা যে হারে কথামৃত ছাপায়, আমার প্রশ্ন জাগে, তবে কি বাঙালি সত্যিই দ্বিচারী?
কেন বলছি? কথামৃতের কয়েকটা মূল প্রতিপাদ্য বিষয় আছে।
১) ঈশ্বর দর্শনই মানব জীবনের উদ্দেশ্য
এই কথাটার অর্থ কি আমি আজও বুঝলাম না।
আমি এই প্রবন্ধের শুরুতেই একটা দ্বন্দ্ব দেখিয়েছি। মহাপ্রভুর উক্তি আর
শ্রীরামকৃষ্ণের উক্তি। দুটো স্ববিরোধী। যদিও এর বহু জটিল ব্যাখ্যা করে এটাকে সেটা
প্রমাণ করতে আমাদের শাস্ত্রকারদের জুড়ি পাওয়া ভার। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গী পৃথক।
যদি বলি ঈশ্বরলাভ, তাও অর্থটা খুব
জটিল। আমি সাধারণ মানুষদের কথা বলছি। বুঝব কি করে তার ঈশ্বরলাভ হয়েছে? সমাধিতে? ভর
হতে দেখেছি অবশ্য অনেককেই। সেটা কি ঈশ্বরলাভ? কিন্তু তাদের চরিত্রের তো এমন কিছু
উন্নত বৈশিষ্ট্য দেখি না। যদি বলি অত্যন্ত উদারতা আসে, সেখানেও গোল। আমি এমন অনেক
মানুষকে দেখেছি যাদের সারাদিনে ঈশ্বরের সাধনার নামগন্ধ নেই কিন্তু অত্যন্ত উদার
চরিত্রের মানুষ। অন্তত বহু ব্র্যান্ডেড ভক্তদের থেকে তো বটেই। তারা স্বচ্ছ, মুক্ত,
সাবলীল চিন্তার অধিকারী শুধু না, নম্রতাতেও অনেক এগিয়ে। তাদের মধ্যে ধর্মীয়
প্রতিযোগিতার চিহ্নও দেখি না। আমাকে একজন মহারাজ একবার অরবিন্দ প্রসঙ্গ তোলাতে
বলেছিলেন, 'ওরকম অরবিন্দ আমাদের মাঠে ফ্যা ফ্যা করে বহু ঘুরে বেড়াচ্ছে।' আমি তর্কে
যাইনি। কি হবে গিয়ে? আমি যে মাপকাঠিতে মাপব সে মাপকাঠিই তো নেই হাতের কাছে।
তবে সমস্যা কি? সমস্যা হল, আমার এই এত
বয়সেও একজনও সেরকম মানুষ দেখলুম না, যে কিনা ওই ঈশ্বরলাভের তকমা পেয়েছে। কিন্তু
হেদিয়ে মরছে আর 'সারাজীবন সংসার করে মরলুম, আমাদের জীবনের আর কিছু হল না' - এমন সব
কথা মেলা শুনলাম। শুনছিও। আচ্ছা সব মানুষের জীবনের এক উদ্দেশ্য হয়?
২) কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ
কি বলি? আর বলার কি কোনো প্রয়োজন আছে?
সোনার পাথরবাটি বলে একটা কথা আছে যদিও। কিন্তু একটা মানুষ যদি রাতদিন ভাবে তাকে
তার যৌন জীবন আর টাকাকড়ি ছেড়ে বাঁচতে অভ্যাস করতে হবে, কিরকম হবে তার মানসিক গঠন?
টাকাকড়ি না হয় ছাড়তে পারবে না, মনকে বোঝাবে, আর না হোক ডোনেশন দিতে তো লাগেই। সে
বেলায় তো কেউ 'না' করে না। কিন্তু যৌন তৃষ্ণা? সে কি খারাপ?
যদিও, 'স্বদারায় মাঝে মাঝে গমনে দোষ নেই ', 'স্ত্রী আধখানা ছানার মন্ডা, কখনও খেলে
ইচ্ছা হলে' ইত্যাদি বিধান কয়েকটা আছে কথামৃতে। কিন্তু প্রধান কথাই হল ত্যাগের কথা।
কাম-কাঞ্চন ত্যাগ।
আসলে ভারতে এই ত্যাগের প্রতি একটা প্রবল
ঝোঁক আছে। মহাপ্রভুও বলছেন, 'আমি যতক্ষণ না ত্যাগ করব ততক্ষণ লোকে আমার কথা নেবে
না। বলবে, এ তো বিষয় ভোগের মধ্যে থেকে লোকশিক্ষা দেওয়া!' অতএব ত্যাগ। আমার মনে হয়
মহাত্মা গান্ধীর প্রায় অর্ধসন্ন্যাস সাজের পিছনে এই মনোভাবই বলবতী থাকবে। নইলে
ভারতীয় সমাজকে প্রভাবিত করা যায় না। আপামর জনসাধারনের সামনে পথপ্রদর্শক হয়ে
দাঁড়ানো যায় না।
রোমিলা থাপারের মতে এই যে 'সিন্ডিকেট
হিন্দুইজ্ম' চালু হল গত শতাব্দী থেকে তারাও একটা নতুন ত্যাগীর ট্রেন্ড আবিষ্কার
করল। সমাজের যাবতীয় সুখ-সুবিধা, বিজ্ঞানের আধুনিকতম আরাম বিলাস সব থাকবে, কিন্তু
গেরুয়া থাকবে আর বীর্যধারণের অঙ্গীকার থাকবে। আর তার সাথে কয়েকটা সামাজিক কাজ করলে
তো কেয়া বাত! ভক্তগণ চোখে ঠুলি বেঁধে আপনার দাস হয়ে যাবে। "ওরা কত সামাজিক
কাজ করে জানেন?" ভাবটা এমন যেন ওই কয়েকজন গেরুয়াধারী না হলে এই এত এত সামরিক,
আধা সামরিক, সরকারি, বেসরকারি, বৈজ্ঞানিক কাজ নগণ্যই এতদিনের সমাজে।
তো নিজেদের যৌন জীবনের থেকে অব্যাহতি
না মিলুক, কিছু আত্মঘোষণাকারী নির্যৌনজীবেদের দেখে আমাদের ভক্তেরা ভক্তিপ্রাণ হয়ে
বেঁচেবর্তে থাকেন আর নিজের 'অস্বাভাবিক' যৌন জীবনের জন্য আদর্শচ্যুত হতে হতে
আত্মগ্লানিতে ভোগেন।
প্রশ্ন, কতটা বীর্য্য ধারণ করলে ঈশ্বরের আসন টলানো যায়?
৩) নির্জন বাস - ঈশ্বরই বস্তু, বাকি সব অবস্তু
মোদ্দা কথা মনের অর্ধেক ঈশ্বরে দিয়ে,
বাকিটা সংসারে দিয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু কথা হল, যে ঈশ্বরের সম্বন্ধেই কোনো ধারণা
নেই, যাকে পাওয়াই নাকি জীবনের উদ্দেশ্য তাতে মন রাখব কি করে? আগে পেয়ে পরে মন
রাখতে হবে তো? কারণ না পেলে মন কি হাওয়ায় রাখব? এখানে আসে সাধন ভজনের কথা। নাম
সংকীর্তন, জপধ্যান, প্রার্থনা - সবই সেই না পাওয়া, না দেখা, না ছোঁয়া, না অনুভব
করা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে। এখানে বলা হচ্ছে এইভাবেই ধীরে ধীরে হবে। আর মনে রেখো সংসারে
কেউ তোমার নয়, তুমি কারোর নয়। মুখে বলবে "ভালোবাসি" কিন্তু মনে জানবে
কেউ তোমার নয়। হল? সাধন শুরু তবে?
সে হোক। ক্ষতি নাই। দেশে আরো কয়েকটা
মহাপুরুষ মিলবে না হয়। কিন্তু কথা হচ্ছে, ওই সংসারটাকে এক্কেবারে অবস্তু বলে বসলে
চলে কি? বলি পোলাপান নিয়ে সংসার। এই কথায় মনের জোর মিলবে কি করে? আর বাকি সব যদি
অবস্তুই হল তবে নীতিবান, সৎ হওয়ারও তো কোনো প্রেরণা দেখি না। তাই কি আমরা
'অতিভক্তি চোরের লক্ষণ' ইত্যাদি কথা শিখেছি? যেমন কেউ টাকা ধার নিয়ে যদি বলে, সবই
অবস্তু দাদা কেন মাথা ঘামান, কিম্বা কয়েক মুঠি মাটির জন্যে এত ভাবনা কিসের? তখন?
প্রবন্ধ আর দীর্ঘ করতে চাই না। কিন্তু
এরকম আরো নানা 'পরকাল' কেন্দ্রিক কথা পাতায় পাতায় আছে। যদিও স্বামীজীর চিন্তা পুরো
বিপরীত। সে আগে অন্য লেখায় বলেছি। কথা হচ্ছে হঠাৎ এ লেখার উদ্দেশ্য কি?
আমার এক ভাই, বয়েস সাতাশের গোড়ায়, চোখ
দেখাতে চুঁচুড়ার একটি বিখ্যাত অত্যন্ত আধুনিক যন্ত্রপাতি পরিবেষ্টিত চোখের
হাসপাতালে যায়। স্বনামধন্য চিকিৎসক বলেন, আমার মনে হচ্ছে তোমার চোখে গ্লকোমা আছে,
তুমি পরীক্ষা করে এসো। তারই হাসপাতালে পরীক্ষা হয়। গ্লকোমা নির্ধারিত হয়। চিকিৎসা
শুরু হয়। সদ্য মাতৃহারা ভাইটি সংসারে দৃষ্টিহারা হওয়ার জন্য দিন গুনতে থাকে। বছর
যায়। ক্রমে ভয়টা তার মজ্জায় পৌঁছাতে থাকে। আমরা জোর করে ঠেলে ওকে শঙ্কর নেত্রালয়ে
পাঠাই। তারা বলে সে পুরোপুরি সুস্থ, কোনোদিনই অমনধারা রোগ তার চোখে হয়ই নি। আমার
মাথায় একটাই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াতে লাগল, তবে এই যে ছেলেটার এক বছরের মানসিক
যন্ত্রণার দায় কে নেবে? মামলা মোকদ্দমা করার না তার সময় আছে না সামর্থ্য। অনেক কাজ
তার সামনে।
তবে উপায় কি? আমাদের বাইরে ভিতরে এত
অসাম্য, এত মুখোশ কেন? উক্ত ডাক্তারের চেম্বারে রামকৃষ্ণের ছবি মনে পড়ল। সাথে সাথে
এরকম আরো কিছু মানুষের মুখ মনে পড়ল যারা ভুল চিকিৎসায় নয়, একটা অবাস্তব আদর্শের
যাঁতাকলে পিষে মরছে দিনরাত। একটা দুর্গম, সুউচ্চ পাহাড়ের চুড়োয় হেঁটে ওঠার প্রয়াস
পাচ্ছে। পারছে না। তবু তাকে কেউ বলছে না তুমি একটা স্বাভাবিক সাধারণ জীবনযাত্রাতেই
সার্থক। কোনো অধরা, অদৃশ্য ঈশ্বরকে, কিম্বা গত কোনো মহাপুরুষের ছবিকে আদর্শ করে
চলতে হবে না। নিজের পায়ে দাঁড়াও। নিজে বিচারশীল হও। জীবনের উদ্দেশ্য ভোগ-ত্যাগ
কিছুই নয়। সৎ জীবন, একটা সহানুভূতিশীল মন আর সুস্থ পরিবেশ গড়ার মত বৈজ্ঞানিক উপায়
- আর কি দরকার? নাস্তিক মানে কি অহংকারী? সব ঈশ্বরপ্রাণ মানুষেরা যদি মানুষ হত
ভক্ত না হলেও তবে পৃথিবীতে বহু রক্ত রাস্তায় গড়াত না।
কিন্তু এই কথাগুলো তো নতুন না? তবে
আমরা কি সত্যিই দ্বিরাচারী? অসুস্থ হয়ে মারা গেলে বলি 'শালার ডাক্তার', তাকে
মারধোর করি, গু-মুত খাওয়াই, আবার বেঁচে গেলে বলি ঈশ্বরের দয়ায় বেঁচে গেল! আরে ভাই
ভুল লোক কোন পেশায় নেই, কিন্তু সে পেশার কৃতিত্ব পাবে ঈশ্বর আর ব্যর্থতার দায় নেবে
মানুষ ডাক্তার --- এ কেমন কথা? নাকি যেহেতু 'কথামৃত' তে আছে ডাক্তার আর উকিলের
পয়সা ঠাকুর নেন না, তারা মানুষের কষ্টের উপর টাকা রোজগার করে বলে? তাই কি
বিদ্বেষের সমর্থন?
তবে কি সত্যিই আমরা দ্বিরাচারী? তাই এত
কপি কথামৃত বিক্রি? তাই এত ছবি দোকানে, বাড়িতে, ট্রেনে, বাসে? অথচ বাস্তবে আমরা
যেই তিমিরে কি সেই তিমিরে? আমরা কি তবে একটা পালাবার, মুখ আড়াল করার ভেন্ট খুঁজি
অবশেষে? আর যেখানের জল সেখানেই আবদ্ধ হয়ে পোকায় ধরে? কেন সরাবো, জগৎটা মিথ্যা যে!
খুব ভালো। আরও লিখুন। তবে ঠাণ্ডা মাথায়। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
ReplyDelete