সুভাষ
বাঙালির গর্ব.. রবি ঠাকুর বাঙালির গর্ব... এই করে করে মানুষগুলো সত্যিই প্রাদেশিক হয়ে
গেলেন... একটু ভেবে দেখুন এনারা কেউই কারোর গর্ব হয়ে থাকতে চাননি... এনারা পুরো অর্থে
ভারতীয় ছিলেন... কেউ কেউ এদের মধ্যে সম্পূর্ণ অর্থে বিশ্বনাগরিক.. কাগজে কলমে নয়...
চিন্তায় আবেগে...
মহাত্মাকে
যদি গুজরাটের গর্ব না বলি, শচীন যদি মুম্বাইয়ের গর্ব না হয়ে থাকেন শুধু... তবে আমরাই
বা কেবল বাঙালির গর্ব করে করে চীৎকার করতে করতে অবশেষে তাদের শুধুই বাঙালি করে রেখে
দেব কেন?
আমাদের
যা গর্ব তা বাইরের লোক বলুক।
আমরা আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদগুলো আরো কি করে সারা বিশ্বের দরবারে পৌঁছাতে পারে, প্রাসঙ্গিক
হয়ে উঠতে পারে বরং সেই দিকে বেশি মনোযোগ দিই। বাকিটা ইতিহাস বলুক। নিদেন পক্ষে অসামান্য
লেখাগুলোর যথার্থ অনুবাদ। তবেই তো তা ছড়াবে না? কেউ কি বলবেন মুরাকামি শুধু জাপানের
গর্ব, কিম্বা অমর্ত্য সেন শুধু বাঙালির গর্ব...
রবিশঙ্করের
সেতার, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা, বিবেকানন্দের দর্শন, রবীন্দ্রনাথের মনন সেদিন বিশ্বের
দরজায় পৌঁছিয়েছিল নিজের জোরে, আমাদের অর্থাৎ স্বজাতির সাহায্য ছাড়াই... তারপর আমরা
তাদের "বাঙালির গর্ব" দাগে দেগে দিতে ছুটলাম ফাঁদ নিয়ে। প্রতিটা মানুষের
সে উত্থানের গল্প কম বেশি সবার জানা। সে বলা বাহুল্য।
আমার
শুধু এইটুকুই বলা, গর্ব করাটা মেলা সোজা কাজ...
প্রদীপের
পিলসুজটা পুরোনো হয়, দীপটা পুরোনো হয়, শিখাটাকে জীবন্ত হতে হয়। নইলে শুধু পিলসুজ আর
দীপটা মাথায় নিয়ে পাড়া বেড়ানো গর্ব করতে গেলে বেপাড়ার লোকেরা হেসে উঠবে, বলবে, দাদা
শিখা কই?
শিখা
তো নিজেকে পুড়িয়ে জ্বালিয়ে রাখতে হয়। সে 'দহন দান' কি এমনিই শুকনো ফাঁকা আবেগে জ্বলবে?
নৈব নৈব চ....
No comments:
Post a Comment